ভীম একাদশী কবে 2024 (১৪৩০) | নির্জলা একাদশী, জয়া একাদশী

Share the post

ভীম একাদশী, নির্জলা একাদশী, জয়া একাদশী,

হরে কৃষ্ণ! প্রিয় বন্ধুরা, আজকে গল্প করব ভীম একাদশী 2024 সম্পর্কে। এই একাদশী পাণ্ডবদের বীরভাই ভীমের নামে নামকরণ করা হয়েছে। কঠোর তপস্যা করে ভগবান বিষ্ণুর আশীর্বাদ লাভের জন্য এই ব্রত পালন করা হয়।

ভীম একাদশী কবে 2024

কিন্তু কবে ভীম একাদশী? | ভীম একাদশী কবে 2024 (সময়সূচী)

চিন্তার দরকার নেই, একটু অপেক্ষার পরেই আসছে এই পুণ্য তিথি। এবার ভীম একাদশী পালন করা হবে ফেব্রুয়ারির ২০ তারিখে! অর্থাৎ, মঙ্গলবার আপনারা এই ব্রত রাখতে পারবেন।

  • একাদশী তিথি শুরু: ২০২৪ সালে ১৯ ফেব্রুয়ারি, সোমবার দুপুর ১২:০১ মিনিটে
  • একাদশী তিথি শেষ: ২০২৪ সালে ২০ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার দুপুর ১২:০৯ মিনিটে

বাংলা ক্যালেন্ডার ভীম একাদশী কত তারিখে (সময়সূচী) ১৪৩০?

  • একাদশী তিথি শুরু: ১৪৩০ সালে ৬ ফাল্গুন, সোমবার দুপুর ১২:০১ মিনিটে
  • একাদশী তিথি শেষ: ১৪৩০ সালে ৭ ফাল্গুন, মঙ্গলবার দুপুর ১২:০৯ মিনিটে

ভীম একাদশী পালনের নিয়ম:

  • একাদশীর আগের দিন থেকে সন্ধ্যায় নিরামিষ আহার শেষ করুন।
  • একাদশী তিথিতে সারাদিন উপবাস থাকুন। জল বা কোনো খাবার গ্রহণ করবেন না।
  • ভগবান বিষ্ণুর নাম স্মরণ করে ধ্যান ও জপ করুন।
  • দ্বাদশী তিথিতে ভোরে স্নান করে পুজো-অর্চনা করুন। তারপর ব্রাহ্মণ ভোজনের ব্যবস্থা করুন।

ভীম একাদশী পালনের উপকারিতা:

  • পাপ ক্ষয় ও পুণ্য লাভ
  • মনের শান্তি ও আত্মিক উন্নতি
  • কামনা পূরণ
  • সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু লাভ

এই ভীম একাদশীতে নিজের মন ও আত্মার প্রশান্তি লাভের জন্য ব্রত পালন করার প্রস্তুতি নিন। এই পুণ্য তিথিতে ভগবানের কৃপা লাভ করে আপনার সব মনস্কামনা পূর্ণ হোক, এই শুভেচ্ছা!

জল ছাড়া জয়! ভীম একাদশীর গল্প!

ফাল্গুন মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী, হিন্দুদের কাছে এক চমৎকার তিথি! একে বলে ভীম একাদশী, নির্জলা একাদশী, জয়া একাদশী! মহাভারতের দ্বিতীয় পাণ্ডব ভীমের নামে নামকরণ করা এই দিনটি পালন করার নিয়ম, ইতিহাস, গুরুত্ব সবই আজ আলোচনা করি।

গল্পে গল্পে ভীম একাদশীর ব্রত কথা:

মহাভারতের কাহিনী অনুযায়ী, চার পাণ্ডব ও দ্রৌপদী নিয়মিত একাদশী ব্রত পালন করতেন। কিন্তু ভীম ছিলেন ব্যতিক্রম। খাদ্যপ্রেমী বীর ভীম একদিনও উপবাস থাকতে পারতেন না। এক বছর একাদশী তিথিতেও ভীম না খেয়ে থাকতে পারলেন না। অন্যরা বিষ্ণুর পুজো করলেও, সে জঙ্গলে গিয়ে ফলমূল আহরণ করে খেয়ে ফেলেন। তারপর বিষ্ণুর মন্দিরে গিয়ে দেখেন সবাই তাকে অপেক্ষা করছে। লজ্জায় মাথা হেঁট করে নিজের ভুল স্বীকার করেন ভীম।

বিষ্ণু তাকে দোষারোপ করেন না। বরং বলেন, অন্য একাদশী ব্রত না হলেও নির্জলা একাদশী পালন করলেই সব পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সেই নির্দেশ মেনে চলেন ভীম।

কঠোর তপস্যা, মহান ফল:

ভীম একাদশী বা নির্জলা একাদশী পালন করা মোটেই সহজ নয়। পুরো ২৪ ঘন্টা জলও স্পর্শ করা যায় না। উপবাস থেকে শুরু করে, জপতপ, ধ্যানমন্দিরা সারাদিন চলে। এই কঠোর তপস্যার ফলে গোটা বছরের পাপ দূর হয়, মন হয় শুদ্ধ, আগামী জন্মে উত্তম গতি লাভ হয়।

বিশেষ দ্রষ্টব্য:

  • জল গ্রহণ না করার কারণে শারীরিক অসুবিধা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
  • গর্ভবতী, স্তন্যদানকারী মায়েদের এই ব্রত পালন করা উচিত না।

ভীম একাদশী পালন করে ভগবান বিষ্ণুর কৃপাধান লাভ করা যায়। মন থেকে পাপ দূর করে ঋষিদের মত উত্তম জন্ম লাভের আশা রাখি।

এই ব্লগ পোস্ট পছন্দ হলে শেয়ার করতে ভুলবেন না!

শেষ কথা:

আপনাদের যদি ভীম একাদশী পালন সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন থাকে, নিচে কমেন্ট করে লিখুন। আমি যথাসাধ্য উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব।

হরে রাম হরে কৃষ্ণ!

আশা করি এই ব্লগ পোস্টটি আপনার কাজে লাগবে!

বিজয়া একাদশী ২০২৪ কবে
বিজয়া একাদশী ২০২৪ কবে?

ভীম একাদশী কি কোনো নির্দিষ্ট মন্দিরে পালন করা উচিত?

না, ভীম একাদশী যেকোনো মন্দিরে বা এমনকি আপনার নিজের বাড়িতেও পালন করা যেতে পারে।

ভীম একাদশী পালন করতে বাধ্যতামূলক কি?

না, ভীম একাদশী পালন করা সম্পূর্ণভাবেই ঐচ্ছিক। তবে এই ব্রত পালন করে ভক্তরা ভগবান বিষ্ণুর আশীর্বাদ লাভ করতে পারেন।

ভীম একাদশী কবে?

এবার ভীম একাদশী পালন করা হবে ফেব্রুয়ারির ২০ তারিখে! অর্থাৎ, মঙ্গলবার আপনারা এই ব্রত রাখতে পারবেন।

ভীম একাদশী পালনের উপকারিতা কি?

পাপ ক্ষয় ও পুণ্য লাভ, মনের শান্তি ও আত্মিক উন্নতি, কামনা পূরণ, সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু লাভ।

ভীম একাদশীতে কি খাওয়া যায়?

একাদশীর আগের দিন সকালে ও সন্ধ্যায় নিরামিষ খাবার খান। একাদশী তিথিতে উপবাস থাকুন, কোনো কিছুই খাবেন না। দ্বাদশী তিথিতে সাত্ত্বিক খাবার গ্রহণ করুন।

ভীম একাদশীতে কি করা যায় না?

মিথ্যা কথা বলবেন না, চুরি করবেন না, কাউকে কষ্ট দেবেন না। মাংস, মদ্যপান ইত্যাদি থেকে বিরত থাকুন।


Share the post

“ভীম একাদশী কবে 2024 (১৪৩০) | নির্জলা একাদশী, জয়া একাদশী”-এ 6-টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন