দুর্গা চালিশা,(Durga Chalisa) হিন্দু ধর্মের একটি জনপ্রিয় স্তোত্র যা দেবী দুর্গার প্রশংসায় রচিত। এটি ৪০টি চৌপাই (ছন্দ) নিয়ে গঠিত, যা দেবীর বিভিন্ন রূপ, গুণাবলী এবং ক্ষমতা বর্ণনা করে।
Dive Durga Chalisa Bengali Lyrics | দেবী দুর্গা চালিশা বাংলা
॥ দেবী দুর্গা চালিশা ॥
নমো নমো দুর্গে সুখ করনী ।
নমো নমো অংবে দুঃখ হরনী ॥ ১ ॥
নিরংকার হৈ জ্যোতি তুম্হারী ।
তিহূ লোক ফৈলী উজিযারী ॥ ২ ॥
শশি ললাট মুখ মহাবিশালা ।
নেত্র লাল ভৃকুটি বিকরালা ॥ ৩ ॥
রূপ মাতু কো অধিক সুহাবে ।
দরশ করত জন অতি সুখ পাবে ॥ ৪ ॥
তুম সংসার শক্তি লয কীনা ।
পালন হেতু অন্ন ধন দীনা ॥ ৫ ॥
অন্নপূর্ণা হুযি জগ পালা ।
তুম হী আদি সুংদরী বালা ॥ ৬ ॥
প্রলযকাল সব নাশন হারী ।
তুম গৌরী শিব শংকর প্যারী ॥ ৭ ॥
শিব যোগী তুম্হরে গুণ গাবেম্ ।
ব্রহ্মা বিষ্ণু তুম্হেং নিত ধ্যাবেম্ ॥ ৮ ॥
রূপ সরস্বতী কা তুম ধারা ।
দে সুবুদ্ধি ঋষি মুনিন উবারা ॥ ৯ ॥
ধরা রূপ নরসিংহ কো অংবা ।
পরগট ভযি ফাড কে খংবা ॥ ১০ ॥
রক্ষা কর প্রহ্লাদ বচাযো ।
হিরণ্যাক্ষ কো স্বর্গ পঠাযো ॥ ১১ ॥
লক্ষ্মী রূপ ধরো জগ মাহীম্ ।
শ্রী নারাযণ অংগ সমাহীম্ ॥ ১২ ॥
ক্ষীরসিংধু মেং করত বিলাসা ।
দযাসিংধু দীজৈ মন আসা ॥ ১৩ ॥
হিংগলাজ মেং তুম্হীং ভবানী ।
মহিমা অমিত ন জাত বখানী ॥ ১৪ ॥
মাতংগী ধূমাবতি মাতা ।
ভুবনেশ্বরী বগলা সুখদাতা ॥ ১৫ ॥
শ্রী ভৈরব তারা জগ তারিণী ।
ছিন্ন ভাল ভব দুঃখ নিবারিণী ॥ ১৬ ॥
কেহরি বাহন সোহ ভবানী ।
লাংগুর বীর চলত অগবানী ॥ ১৭ ॥
কর মেং খপ্পর খডগ বিরাজে ।
জাকো দেখ কাল ডর ভাজে ॥ ১৮ ॥
তোহে কর মেং অস্ত্র ত্রিশূলা ।
জাতে উঠত শত্রু হিয শূলা ॥ ১৯ ॥
নগরকোটি মেং তুম্হীং বিরাজত ।
তিহুঁ লোক মেং ডংকা বাজত ॥ ২০ ॥
শুংভ নিশুংভ দানব তুম মারে ।
রক্তবীজ শংখন সংহারে ॥ ২১ ॥
মহিষাসুর নৃপ অতি অভিমানী ।
জেহি অঘ ভার মহী অকুলানী ॥ ২২ ॥
রূপ করাল কালিকা ধারা ।
সেন সহিত তুম তিহি সংহারা ॥ ২৩ ॥
পডী ভীঢ সংতন পর জব জব ।
ভযি সহায মাতু তুম তব তব ॥ ২৪ ॥
অমরপুরী অরু বাসব লোকা ।
তব মহিমা সব কহেং অশোকা ॥ ২৫ ॥
জ্বালা মেং হৈ জ্যোতি তুম্হারী ।
তুম্হেং সদা পূজেং নর নারী ॥ ২৬ ॥
প্রেম ভক্তি সে জো যশ গাবেম্ ।
দুঃখ দারিদ্র নিকট নহিং আবেম্ ॥ ২৭ ॥
ধ্যাবে তুম্হেং জো নর মন লাযি ।
জন্ম মরণ তে সৌং ছুট জাযি ॥ ২৮ ॥
জোগী সুর মুনি কহত পুকারী ।
যোগ ন হোযি বিন শক্তি তুম্হারী ॥ ২৯ ॥
শংকর আচারজ তপ কীনো ।
কাম অরু ক্রোধ জীত সব লীনো ॥ ৩০ ॥
নিশিদিন ধ্যান ধরো শংকর কো ।
কাহু কাল নহিং সুমিরো তুমকো ॥ ৩১ ॥
শক্তি রূপ কো মরম ন পাযো ।
শক্তি গযী তব মন পছতাযো ॥ ৩২ ॥
শরণাগত হুযি কীর্তি বখানী ।
জয জয জয জগদংব ভবানী ॥ ৩৩ ॥
ভযি প্রসন্ন আদি জগদংবা ।
দযি শক্তি নহিং কীন বিলংবা ॥ ৩৪ ॥
মোকো মাতু কষ্ট অতি ঘেরো ।
তুম বিন কৌন হরৈ দুঃখ মেরো ॥ ৩৫ ॥
আশা তৃষ্ণা নিপট সতাবেম্ ।
রিপু মূরখ মোহি অতি দর পাবৈম্ ॥ ৩৬ ॥
শত্রু নাশ কীজৈ মহারানী ।
সুমিরৌং ইকচিত তুম্হেং ভবানী ॥ ৩৭ ॥
করো কৃপা হে মাতু দযালা ।
ঋদ্ধি-সিদ্ধি দে করহু নিহালা । ৩৮ ॥
জব লগি জিযূ দযা ফল পাবূ ।
তুম্হরো যশ মৈং সদা সুনাবূ ॥ ৩৯ ॥
দুর্গা চালীসা জো গাবৈ ।
সব সুখ ভোগ পরমপদ পাবৈ ॥ ৪০ ॥
দেবীদাস শরণ নিজ জানী ।
করহু কৃপা জগদংব ভবানী ॥
দুর্গা চালিশার তাৎপর্য:
- দেবী দুর্গার কৃপা লাভ: এই স্তোত্র পাঠের মাধ্যমে ভক্তরা দেবী দুর্গার কৃপা লাভ করতে পারেন।
- মনোবল বৃদ্ধি: দুর্গা চালিশা পাঠ মনোবল বৃদ্ধি করে, ভয় ও খারাপ চিন্তা ভাবনা দূর করে।
- শক্তি ও সুরক্ষা: এই স্তোত্র পাঠ ভক্তদের শক্তি ও সুরক্ষা প্রদান করে।
- বিপদ থেকে মুক্তি: দুর্গা চালিশা পাঠ বিপদ থেকে মুক্তি এবং কল্যাণ লাভের জন্য সহায়ক।
কখন দুর্গা চালিশা পাঠ করা উচিত:
- নবরাত্রি: নবরাত্রির সময় দুর্গা চালিশা পাঠ বিশেষভাবে ফলপ্রসূ।
- মঙ্গলবার ও শুক্রবার: এই দুই দিন দেবী দুর্গার পূজার জন্য বিশেষভাবে উৎসর্গীকৃত।
- কোন বিপদে পড়লে: যখন আপনি কোন বিপদে পড়েন, তখন দেবী দুর্গার কাছে সাহায্যের জন্য এই স্তোত্র পাঠ করতে পারেন।
দুর্গা চালিশা পাঠের নিয়ম:
- স্নান করে পবিত্র পোশাক পরে: স্তোত্র পাঠ করার আগে স্নান করে পবিত্র পোশাক পরা উচিত।
- দেবী দুর্গার মূর্তির সামনে: দেবী দুর্গার মূর্তির সামনে বসে স্তোত্র পাঠ করা উচিত।
- মনোযোগ দিয়ে: মনোযোগ দিয়ে এবং ভক্তি সহকারে স্তোত্র পাঠ করা উচিত।
- মালা ব্যবহার করে: আপনি যদি চান, স্তোত্র পাঠ করার সময় মালা ব্যবহার করতে পারেন।
FAQs
কেন একে দুর্গা চালিশা বলা হয়?
‘চালিসা’ শব্দটি হিন্দিতে ৪০ নম্বরকে বোঝায়, যা দেবতাকে উৎসর্গ করা ৪০টি শ্লোকের প্রতিনিধিত্ব করে।
প্রতিটি আয়াত থেকে উপকৃত হওয়ার জন্য আমাকে কি বুঝতে হবে?
বোঝার সাথে সাথে সংযোগ আরও গভীর হয়, নিছক ভক্তির সাথে জপ করার কাজটিও প্রচুর উপকার করতে পারে।
কেউ কি দুর্গা চালিসা পাঠ করতে পারেন?
একেবারেই! এটা উদ্দেশ্য এবং ভক্তি যে গুরুত্বপূর্ণ, কারো পটভূমি নয়।
দুর্গা আরতি থেকে দুর্গা চালিসা কীভাবে আলাদা?
চালিসা হল দেবীর প্রশংসা করার শ্লোকগুলির একটি সেট, আর আরতি হল একটি ভক্তিমূলক গান যা একটি পূজার শেষে গাওয়া হয়।
জপ করার সময় আমার কি নির্দিষ্ট আচার পালন করতে হবে?
আচার-অনুষ্ঠান অভিজ্ঞতা বাড়াতে পারে কিন্তু বাধ্যতামূলক নয়। আপনার ভক্তি এবং অভিপ্রায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।