Bhagavad Gita pdf Bengali | শ্রীমদভগবদগীতা বাংলা PDF

Share the post

ভগবদ্গীতা হল মহাভারতের একটি অংশ, যেখানে ভগবান কৃষ্ণ ও পাণ্ডব রাজকুমার অর্জুনের মধ্যে কথোপকথন ঘটে। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের আগে, অর্জুন যখন যুদ্ধে যেতে দ্বিধাগ্রস্ত হন, তখন কৃষ্ণ তাকে ধর্ম ও কর্তব্যের প্রতি উৎসাহিত করেন এবং যোগ, ভক্তি এবং জ্ঞানের মাধ্যমে মোক্ষ লাভের পথ দেখান। গীতা হিন্দু ধর্মের মৌলিক গ্রন্থ এবং জীবনচর্যার ব্যবহারিক পথনির্দেশিকা হিসেবে গণ্য হয়।

আপনি যদি গীতার বিষয়ে আরও গভীর জ্ঞান অর্জন করতে চান, তাহলে আপনি উইকিপিডিয়া পাতাটি দেখতে পারেন অথবা যথার্থ গীতা ও গীতা সোসাইটি ওয়েবসাইটে গীতার বাংলা অনুবাদ ও সারাংশ পড়তে পারেন। এছাড়াও, গীতার বিষয়ে বিভিন্ন বক্তৃতা ও শ্রবণের জন্য ইউটিউব ভিডিওগুলি উপকারী হতে পারে।

ভগবদ্গীতা সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানার জন্য, আপনি নিম্নলিখিত সংস্থানগুলি অনুসরণ করতে পারেন:

  • বহুমুখী মন্তব্য: আর্কাইভ ডট অর্গ এ ভগবদ্গীতার বহুমুখী মন্তব্য সহ বাংলা অনুবাদ পাওয়া যায়।
  • গীতা সঙ্গীত: হিন্দু লিটারেচার ডট অর্গ এ ভগবদ্গীতার বাংলা গানের সঙ্গে লিরিক্স দেখতে পারেন।
  • প্রভুপাদের অনুবাদ: আর্কাইভ ডট অর্গ এ এ.সি. ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদের অনুবাদে ভগবদ্গীতা পাওয়া যায়।
  • বাংলা অনুবাদ: ভগবদ্গীতা ডট অর্গ এ ভগবদ্গীতার বাংলা অনুবাদ পাওয়া যায়।

এই সংস্থানগুলি আপনাকে গীতার গভীর অর্থ বুঝতে এবং এর শিক্ষাগুলি

শ্রীমদভগবদগীতা বাংলা pdf book Download করুন

শ্রীমদ্ভগবত গীতায় শ্রীকৃষ্ণের ভূমিকা

‌এই হিন্দু ধর্মগ্রন্থে শ্রীমদ্ভাগবত গীতায় আছে শ্রীকৃষ্ণের মুখনিঃসৃত বাণী।

এই বাণীর পরিপ্রেক্ষিতটি হল যে —কুরুক্ষেত্রের রনভূমিতে কুরু-পান্ডবগণ স্বপক্ষের রাজন্য ও সৈনিকদের নিয়ে যখন ওইখানে উপস্থিত হলেন তখন অর্জুন সমস্ত প্রতিপক্ষকে দেখার জন্য যুদ্ধের মাঝখানে এলেন কিন্তু প্রতিপক্ষের সকলেই তার আত্মীয়স্বজন তাই তিনি বললেন যে তাদের ওপর তিনি অস্ত্র প্রয়োগ করতে পারবেন না এই কথা বলে অর্জুন তার অস্ত্রত্যাগ করে রথের উপর বসে পড়লেন এই সময় শ্রীকৃষ্ণ তাকে যুদ্ধে প্রবৃত্ত করার জন্য যে সমস্ত উপদেশ দিয়েছিল তারই সংকলন হল শ্রীমদ্ভগবত গীতা।

গীতার মধ্যে আলোচিত বিষয়বস্তুগুলির দিকে লক্ষ্য করলে আমরা দেখতে পাই যে ভারতীয় দর্শনের, কর্ম ,জ্ঞান ,সন্ন্যাস ,ধ্যান,ভক্তি ,মোক্ষ প্রভৃতি সমস্ত প্রধান প্রধান বিষয়গুলি আলোচনা করা হয়েছে।

শ্রীমদ্ভাগবত গীতা আমরা কেন পাঠ করব

শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে উদ্দেশ্য করে বলে ছিলেন যে সুধু হিন্দু নয় সমস্ত ধর্মের মানুষদের গীতা পাঠ করা উচিত।

কারণ বিশেষজ্ঞরা বলেন এই গীতার মধ্যে আজকের দিনেও আমাদের সমস্ত সমস্যার সমাধান পাওয়া যায় জীবনের সুখ এবং শান্তি লাভের জন্য গীতা পাঠ আমাদের অত্যন্ত জরুরী আমাদের পূর্বপুরুষরা নিয়মিতভাবে গীতা পাঠ এবং গীতা শ্রবণ করে এসেছে কিন্তু আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যস্ততার কারণে নিয়মিত গীতা পাঠ করা হয়ে ওঠে না।

এখানেই আমার শ্রীমদ্ভাগবত গীতা সমাপ্ত হয়ে যায়নি কারণ আমাদের গীতা পাঠ করা অত্যন্ত জরুরী এবং গীতা পাঠের পর গীতা মাহাত্ম্য পাঠকরাটা খুবই দরকারি।

এখানে আমি গীতা মহত্বের প্রথম এবং শেষ শ্লোক বলবো শ্রীমদ্ভগবত গীতা নির্দেশকে যথাযথভাবে অনুসরণ করলে অতি সহজেই সমস্ত ভয় ও উদ্বেগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এই জীবনে ভয় ও শোকয়াদি পোরজিত হয়ে পরবর্তী চিন্ময় স্বরূপ অর্জন করা যায় যে ব্যক্তি শ্রদ্ধা্পুরক অর্থযুক্ত গীতা শ্রবণ করে এবং গীতার মাহাত্ম্য শ্রবণ করে এহলোকে তার পূর্ণ ফল সর্ব সুখের কারণ হয়ে থাকে।

শ্রীমদ্ভগবত গীতার ভূমিকা

সংস্কৃত সাহিত্য ও ভারতীয় হিন্দু ধর্মীয় গ্রন্থ শ্রীমদ্ভগবত গীতা (সংক্ষেপে গীতা) এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আধ্যাত্মিক গ্রন্থ।

মহাভারতে ভীষ্মপর্বে রয়েছে ২৫ টি অধ্যায় থেকে ৪২ টি অধ্যায় পর্যন্ত মোট ১৮ টি অধ্যায় ব্যাখ্যা করা হয়েছে তাই আলাদাভাবে শ্রীমদ্ভাগবত গীতা নামে চিহ্নিত হয়েছে। মহাভারতে অংশ হলেও স্বতন্ত্রভাবে হিন্দু ধর্মগ্রন্থ হিসেবে এটি অতি প্রাচীনকাল থেকে স্বীকৃতি পেয়ে আসছে শ্রীমদ্ভাগবত গীতা, শব্দটির অর্থ হল শ্রীভগবানের গীতা বা উক্তি কিন্তু শব্দটিতে গীতা এইভাবে স্ত্রীলিঙ্গ করার কারণ হল যে এই গ্রন্থকে উপনিষদ হিসেবে মনে করা হয় এবং উপনিষেধ শব্দের সাথে অভিন্নরুপে অন্বয় করা হয়। কারণ উপনিষদ শব্দটি স্ত্রীলিঙ্গ তাই `গীত `শব্দটিকেও স্ত্রীলিঙ্গ করে গীতা করা হয়েছে।

তাই এখানে দেখা যাচ্ছে যে গীতাকে উপনিষদ বলা হয়েছে। শ্রীমদ্ভাগবত গীতাতে মোট ৭০০ টি শ্লোক আছে শোনা যায় যে শ্রীকৃষ্ণের মুখে ৫৭৪ টি এবং অর্জুনের মুখে ৮৫ টি ও সঞ্জয়ের মুখে ৪০ টি ধৃতরাষ্ট্রের মুখে ১টি শ্লোক বিধৃত হয়েছে। এই ৭০০টি শ্লোক নিয়ে গীতার অধ্যায় সংখ্যা ১৮টি সেইগুলির মধ্যে হলো(১) অর্জুনবিষাদ-যোগ (২) সাংখ্য -যোগ, (৩) কর্ম -যোগ, (৪) জ্ঞান -যোগ, (৫) সন্ন্যাস -যোগ, (৬) ধ্যান- যোগ, (৭) জ্ঞান- বিজ্ঞান -যোগ, (৮) অক্ষরব্রহ্ম- যোগ ,(৯) রাজ -যোগ, (১০) বিভূতি -যোগ, (১১) বিশ্বরূপদর্শন- যোগ, (১২) ভক্তি- যোগ, (১৩) ক্ষেত্র -ক্ষেত্রজ্ঞ -বিভাগ -যোগ্য, (১৪) গুণত্রয়বিভাগ -যোগ, (১৫) পুরুষোত্তম- যোগ, (১৬) দৈবাসুর-সম্পদ্- বিভাগ _যোগ,(১৭) শ্রদ্ধাত্রবিভাগ -যোগ এবং (১৮) মোক্ষ – যোগ ।

Sri Krishna Bani in Bengali
শ্রীকৃষ্ণের ১০০টি বাণী

FAQs

প্রশ্ন ১: শ্রীমদ্ভাগবত গীতা কি ?

উত্তর : শ্রীমদ্ভাগবত গীতা হচ্ছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের অমৃত বাণী বা গান।

প্রশ্ন ২: শ্রীমদ্ভাগবত গীতার রচয়িতা কে ?

উত্তর : শ্রীমদ্ভাগবত গীতার রচয়িতা হলেন মহর্ষি ব্যাসদেব।

প্রশ্ন ৩ : শ্রীকৃষ্ণ গীতার জ্ঞান প্রথমে কাকে দিয়েছিলেন ?

উত্তর : শ্রীকৃষ্ণ প্রথমে গীতার জ্ঞান সূর্যদেব বিবস্বানকে দিয়েছিলেন ।

প্রশ্ন ৪ : মহাভারতে কোন অংশে এই গীতার জ্ঞান আছে ?

উত্তর : মহাভারতের ভীষ্মপর্বের ২৫ –৪২ অধ্যায় এই গীতার জ্ঞান আছে।

প্রশ্ন ৫ : গীতাকে সপ্তসতী বলা হয় কেন ?

উত্তর : গীতায় ৭০০ শ্লোক আছে তাই গীতাকে সপ্তসতী বলা হয় ।

প্রশ্ন ৬ : গীতায় কয়টি অধ্যায় আছে ?

উত্তর : গীতায় ১৮ টি অধ্যায় আছে ।

প্রশ্ন ৭ : গীতায় কে কয়টি শ্লোক বলেছিল ?

উত্তর : ধৃতরাষ্ট্র ১ টি , সঞ্জয় ৪০ টি , অর্জুন ৮৫ টি এবং শ্রীকৃষ্ণ ৫৭৪ টি শ্লোক বলেছিলেন ।

প্রশ্ন ৮ : গীতায় অর্জুন এবং শ্রীকৃষ্ণের কয়টি নাম উল্লেখ করা হয়েছে ?

উত্তর : গীতায় অর্জুনের ২০ টি নাম এবং শ্রীকৃষ্ণের ৩৩ টি নাম উল্লেখ করা হয়েছে ।


Share the post

মন্তব্য করুন