পৌষকালী পূজা 2024 | Poush Kali puja 2024 in Bengali

Share the post

পৌষকালী পূজা বাংলায় | Poush Kali puja 2024

পৌষকালী পূজা বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় ধর্মীয় অনুষ্ঠান। এটি বাংলা মাস পৌষের তৃতীয় পক্ষের শুক্লা পক্ষের চতুর্দশী তিথিতে পালিত হয়। এটি বারো মাসে বারো দুর্গার পূজার অন্যতম অংশ। পৌষকালী পূজায় দেবী কালীর মূর্তি গঙ্গা বা অন্য কোনো পবিত্র নদীর মাটি দিয়ে তৈরি করা হয়। মূর্তির রঙ কালো বা নীল। মূর্তির চারটি হাত থাকে। ডানদিকের উপরের হাত শঙ্খ, ডানদিকের নিচের হাত খড়্গ, বামদিকের উপরের হাত বরদ মুদ্রা এবং বামদিকের নিচের হাত নরমুণ্ড।

Poush Kali puja 2024

পৌষকালী পূজার দিন সকালে ভোরবেলায় স্নান করে নতুন কাপড় পরে ভক্তরা পূজার স্থানে যান। তারা দেবীকে ফুল, ফল, মিষ্টি, নৈবেদ্য নিবেদন করেন। তারা দেবীর সামনে প্রদীপ জ্বালিয়ে আরতি করেন। পূজার শেষে ভক্তরা দেবীর কাছে আশীর্বাদ প্রার্থনা করেন।

পৌষকালী পূজা তারিখ: | Poush Kali Puja Date:

পৌষ মাস পড়লেই শুরু হয়ে যায় পৌষ কালীপুজোর (Poush Kali puja) উৎসব কিন্তু পৌষ কালী পুজো নির্দিষ্ট সময় বা কোন তারিখ ধরে করা হয় না। পৌষ কালীপুজো সারা পৌষ মাস জুড়েই হয় বলে কোন নির্দিষ্ট তারিখ ( Date ) থাকেনা, কিন্তু এই পুজো শনি ও মঙ্গলবার তাছাড়া অমাবস্যা ও পূর্ণিমা তিথি ধরে করা হয়। কারণ এই দিনগুলি শুভ দিন হিসেবে মানা হয়।

পৌষকালী পূজা বাংলার সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি হিন্দু ধর্মের বিশ্বাস অনুসারে, দেবী কালীর পূজা করলে সকল দুঃখ-কষ্ট দূর হয় এবং জীবনে সুখ-শান্তি আসে।

পৌষকালী পূজায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে:

  • পূজা শুরুর আগে: পূজার স্থান পরিষ্কার করা হয়। মূর্তি তৈরি করা হয়। মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয়।
  • পূজার দিন: ভক্তরা পূজার স্থানে যান। তারা দেবীকে পূজা করেন। তারা দেবীর কাছে আশীর্বাদ প্রার্থনা করেন।
  • পূজা শেষে: ভক্তরা দেবীকে প্রণাম করেন। তারা প্রসাদ গ্রহণ করেন।

পৌষকালী পূজা বাংলার বিভিন্ন জেলায় পালিত হয়। তবে, পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া, হুগলি, বাঁকুড়া, মেদিনীপুর, বর্ধমান জেলায় এটি বিশেষভাবে জনপ্রিয়। এই জেলায় পৌষকালী পূজার জন্য বিশাল পেন্ডেল তৈরি করা হয়। পেন্ডেলের সামনে বিশাল আলোকসজ্জা করা হয়। পৌষকালী পূজার দিন পেন্ডেলের সামনে মেলা বসে। এই মেলায় বিভিন্ন ধরনের পণ্য বিক্রি হয়। পৌষকালী পূজা বাংলার একটি আনন্দঘন উৎসব।sharemore_vert

শ্রীকৃষ্ণের ১০০টি বাণী:-

 তার জ্ঞান এবং শিক্ষা আজও মানুষকে অনুপ্রেরণা দেয়। এখানে শ্রীকৃষ্ণের ১০০টি বাণী সংকলিত করা হলো, যেগুলো বাংলা ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে:-

পৌষকালীর সাথে আনন্দ ও ঐতিহ্যের বন্ধন

পৌষ মাস পড়তেই পশ্চিমবঙ্গ এবং বিভিন্ন রাজ্য আলোকিত হয়। দেবী কালীর মাহাত্ম্য গেয়ে ওঠে প্রতিটি গৃহে, প্রতিটি মন্দিরে। এটি শুধু পূজা নয়, এটি ঐতিহ্যের সঙ্গে আনন্দের এক মিলনমেলা।

এই নিম্নচন্দ্রের আলোয় পৌষকালীর মৃৎশিল্পের মূর্তি তৈরি হয়। কখনো বা সোনামুখী কোমল, কখনো বা ভয়ঙ্কর দংশন ধারী – প্রতিটি মূর্তিতেই ঝলমলে দেবীর শক্তি। নীল, কালো বা লাল রঙের এই মূর্তি গঙ্গার পবিত্র জল দিয়ে প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয়। তার চার হাতে শঙ্খ, খড়্গ, বরমুদ্রা ও নরমুণ্ড – শত্রুদমন, আশীর্বাদ ও করুণার নিখুঁত প্রতীক।

পূজার দিন সকালবেলা ধ্বনি উঠে গান্ধারী ঢোলকের। নতুন কাপড়ে সেজে ভক্তরা ছুটে যান মন্দিরে। ধূপ আর চন্দনের সুগন্ধে ভরে যায় পুজার স্থান। ফুল, ফল, মিষ্টি ও ধান নিয়ে দেবীকে নিবেদন করা হয়। প্রদীপ আর ধুনুচি নাচে লাল আগুনের ছন্দে, আরতির সুর তুলে ধরে পূজারি। দেবীর মন্ত্র জপে যেন গুঞ্জমান হয় সমস্ত মহাবিশ্ব।

পৌষকালী পূজা শুধু পূজা নয়, এটি ঐতিহ্যের উৎসব। এইদিন বাংলার গ্রাম, শহর সবুজ-লালের রঙে ছেয়ে যায়। মেলা বসে, রঙ্গামেলার আনন্দে ডুবে যায় মানুষ। নাটক, পুতুলখেলা, গান-বাজনা চলে রাত পর্যন্ত। পৌষকালীর বুক চিরে বয়ে যায় এই মঙ্গলময় আনন্দধারা।

পৌষকালী শুধু দেবী নয়, তিনি শক্তির প্রতীক। তিনি কল্যাণের দেবী, দুঃখ দূর করে আনন্দ দেন। পৌষকালী পূজার মধ্যে দিয়ে আমরা মনে করিয়ে দিই সেই শক্তির কথা, সেই আনন্দের কথা। তাই তো পৌষকালী পূজা নয়, এটি বাংলার সংস্কৃতির প্রাণ, ঐতিহ্যের সোনালি সুতো।


২০২৪ সালের সরস্বতী পূজা কত তারিখ, রীতিনীতি,ইতিহাস (১৪৩১)

২০২৪ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি রাত ৮:১৩ মিনিট থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি রাত ৬:০৫ মিনিট পর্যন্ত থাকবে পঞ্চমী তিথি। তাই ২০২৪ সালের সরস্বতী পূজা পড়েছে ১৪ ফেব্রুয়ারি, বুধবার।

FAQs

পৌষ কালী পূজা কি?

পৌষ কালী পূজা হল একটি হিন্দু উৎসব যা পশ্চিমবঙ্গ, ভারত এবং বাংলাদেশে বাংলা মাসে (ডিসেম্বর-জানুয়ারি) পালিত হয়। এটি দেবী কালীর একটি পূজা (উপাসনা), যাকে দুর্গার ভয়ঙ্কর রূপ হিসাবে বিবেচনা করা হয়, অশুভের ধ্বংসকারী।

পৌষ কালী পূজা কখন পালিত হয়?

পৌষ কালী পূজা পৌষ মাসের শুক্লপক্ষের (উজ্জ্বল পাক্ষিক) চতুর্দশীতে (14 তম দিন) পালিত হয়। এটি সাধারণত ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে পড়ে।

পৌষ কালী পূজা কিভাবে পালিত হয়?

পৌষ কালী পূজা অত্যন্ত ভক্তি ও উৎসাহের সাথে পালিত হয়। ভক্তরা ভোরে স্নান করে নতুন পোশাক পরে। তারপর তারা মন্দিরে যায় বা বাড়িতে একটি বেদি তৈরি করে এবং দেবী কালীকে পূজা দেয়। পুজোর মধ্যে রয়েছে ফুল, ফল, মিষ্টি এবং ধূপ দেওয়া। ভক্তরাও কালীর স্তুতিতে মন্ত্র ও স্তোত্র উচ্চারণ করেন।

পৌষ কালী পূজার তাৎপর্য কি?

পৌষ কালী পূজা সৌভাগ্য, সমৃদ্ধি এবং মন্দ থেকে সুরক্ষা নিয়ে আসে বলে বিশ্বাস করা হয়। এটি দেবী কালীর শক্তি এবং শক্তি উদযাপন করার একটি সময়।

পৌষ কালী পূজা কোথায় সবচেয়ে জনপ্রিয়?

পৌষ কালী পূজা পশ্চিমবঙ্গ, ভারত এবং বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয়। যাইহোক, এটি ভারতের অন্যান্য অংশে যেমন ওড়িশা এবং আসামে পালিত হয়।

পৌষ কালী পূজা উদযাপনের কিছু চ্যালেঞ্জ কি কি?

পৌষ কালী পূজা উদযাপনের অন্যতম চ্যালেঞ্জ হল কালীর মূর্তি তৈরি ও সাজানোর খরচ। আরেকটি চ্যালেঞ্জ হল পূজা করার জন্য একটি উপযুক্ত জায়গা খুঁজে বের করা, কারণ প্রায়ই সমস্ত ভক্তদের থাকার জন্য যথেষ্ট বড় জায়গা খুঁজে পাওয়া কঠিন।

আধুনিক বিশ্বে পৌষ কালী পূজা কীভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে?

আধুনিক বিশ্বে পৌষ কালী পূজা দিন বাণিজ্যিকীকরণ হচ্ছে। এখন অনেক দোকান আছে যেগুলো পূজার সামগ্রী, যেমন প্রতিমা, ফুল এবং মিষ্টি বিক্রি করে। এটি পূজাকে মানুষের কাছে আরও সহজলভ্য করেছে, তবে এটি উত্সবের ক্রমবর্ধমান বস্তুবাদ নিয়ে উদ্বেগও বাড়িয়েছে।

পৌষ কালী পূজার ভবিষ্যৎ কি?

প্রতিদ্বন্দ্বিতা সত্ত্বেও, পৌষ কালী পূজা বাঙালি সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে রয়ে গেছে। এটি পরিবার এবং সম্প্রদায়ের একত্রিত হওয়ার এবং তাদের বিশ্বাস উদযাপন করার সময়। এটি দেবী কালীর শক্তি এবং গুরুত্বেরও একটি অনুস্মারক।

আমি কিভাবে পৌষ কালী পূজা সম্পর্কে আরও জানতে পারি?

আপনি যদি পৌষ কালী পূজা সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী হন, আপনি আপনার সম্প্রদায়ের বাঙালিদের সাথে কথা বলতে পারেন বা হিন্দু মন্দিরে যেতে পারেন। আপনি অনলাইন বা লাইব্রেরিতেও তথ্য পেতে পারেন।


Share the post

মন্তব্য করুন